প্রকাশিত: Fri, Feb 9, 2024 12:56 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:01 AM

[১] রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি

এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় সগিরা মোর্শেদ খুনের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে এই দিন ধার্য করেছেন।  

[৩] ‘আমাদের নতুন সময়’কে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

[৪] এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি একই আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায়ের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

[৫] মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

[৬] ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

[৭] তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে ডা. হাসান আলী চৌধুরীর স্ত্রী আসামি শাহীনের বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল, সে সগিরাকে অনেক অপছন্দ করত এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্বোধন করা নিয়েও সগিরা ও শাহীনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে বসে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় সগিরাকে হত্যার চুক্তি করে।

[৮] ২৫ জুলাই, ১৯৮৯ মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

[৯] ০২ ডিসেম্বর, ২০২১ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী